আমার বিয়ে কবে হবে

আমার বিয়ে কবে হবে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা সবাই কম বেশি জানতে অনেক আগ্রহী।আমাদের সবার মনে এই প্রশ্ন থাকে যে আমার বিয়ে কবে হবে।  বিয়ে আমাদের সামাজিক জীবনের অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিয়ে মানে যে শুধুমাত্র দুটি মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তা নয় দুটো পরিবারের সাথে সারা জীবনের জন্য একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। আমাদের জীবনের কিছু প্রশ্ন আছে যা কখনো পুরনো হয় না।

আমার-বিয়ে-কবে-হবে

নিজের মনে অনেক সময়ই এক ধরনের অদ্ভত কৌতূহল জেগে ওঠে আমার বিয়ে কবে হবে। কখন সেই কাঙ্ক্ষিত মানুষটি আসবে জীবনে। যে জীবনে আসার পর জীবনটাকে সুন্দর ও রঙিন করে গুছিয়ে দিবে।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ আমার বিয়ে কবে হবে

আমার বিয়ে কবে হবে

বিয়ে আমাদের সকলের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।মহান আল্লাহতালা সকল নারী পুরুষের জন্য বিয়ে ফরজ করেছেন। কিন্তু আপনার বা আমার বিয়ে কবে হবে এটা শুধুমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কারণ সবকিছুর মালিক একমাত্র তিনি। সবকিছু তার হাতেই। মহান আল্লাহ তাআলা ভাগ্যে যেদিন বিয়ে লিখে রেখেছে সেদিনই বিয়ে হবে।

আরো পড়ুন:কার সঙ্গে বিয়ে হবে এটা কি পূর্ব নির্ধারিত?

আমরা একটা কথার সাথে সবাই খুব পরিচিত জন্ম, মৃত্যু এবং বিয়ে সবকিছু মহান আল্লাহ তায়ালার হাতে সবকিছু তার নিয়ন্ত্রণে। মহান আল্লাহতালা ছাড়া কেউই জানেন না যে কবে বিয়ে হবে বা কার সাথে বিয়ে হবে বা কখন বিয়ে হবে। এগুলো সম্পর্কে সাধারণত আমাদের কারোই ধারণা নেই,এটা আমাদের ধারণার সম্পূর্ণ বাইরে। এটার একমাত্র মালিক হচ্ছে মহান আল্লাহতালা।

বিয়ে না হলে আমাদের কি করা উচিত

বিয়ে শুধুমাত্র আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নয় আমাদের সামাজিক জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বিয়ে আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত একটু গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলেও এটি আমাদের জীবনের একমাত্র চূড়ান্ত লক্ষ্য বা অর্জন নয়। অনেক সময় সঠিক সঙ্গে খুঁজে না পাওয়ার জন্য বা জীবনের প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ার কারণেও বিয়ে দেরিতে হয়।অনেক সময় দেখা যায় বিয়ের উপযুক্ত বয়স হয়েছে ,যোগ্য মেয়ে আছে কিন্তু কোন কারণবশত মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না।

অনেক সময় দেখা যায় বিয়ে ঠিক হওয়ার পর আবার কোন কারণবশত বিয়ে ভেঙে যাই। যদি কোন মেয়ের কোন কারণবশত বিয়ে না হয় তাহলে মেয়ের বাবা-মা  নিম্নোক্ত আমল গুলো নিয়মিত করতে পারেন। পিতা-মাতার যেকোনো একজন ছেলে বা মেয়ের বিয়ে নিয়ত করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে হবে এবং নামাজ শেষে( ইয়া লাতিফু) ১০০ বার পাঠ করতে হবে।ছেলে অথবা মেয়ে উভয় ই নিজের বিয়ের জন্য (ইয়া লাতিফু)৫০০ বার প্রতিদিন পাঠ করবে। আল্লাহর রহম করলে ইনশাল্লাহ আল্লাহ দ্রুত বিয়ের কোন ব্যবস্থা করে দিবে।

জন্ম তারিখ অনুযায়ী আমার বিয়ে কবে হবে

হিন্দু শাস্ত্র মতে জ্যোতিষদের সাহায্যে জন্মসংখ্যা বা জন্ম তারিখ, হাতের সংখ্যা রেখা দ্বারা দেখে বলে দেয় জন্মতারিখ অনুযায়ী আমার বিয়ে কবে হবে বা আমার কার সাথে বিয়ে হবে। জ্যোতিষরা জন্ম সংখ্যা বা জন্ম তারিখ দেখে এটাও বলে দেয় যে বিয়ে প্রেমের হবে নাকি পারিবারিকভাবে দেখাশোনা করে বিয়ে হবে। জ্যোতিষরা সংখ্যা তত্ত্ব অনুযায়ী  জন্মতারিখ, মাস, সাল দিয়ে বিয়ে কবে হবে সেদিন তারা নির্ধারণ করে দেয়। হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা অনেকেই এটার উপর নির্ভর করে এবং বিশ্বাস করে যে জন্ম তারিখ অনুযায়ী তারা জানতে পারবে বিয়ে কবে হবে,কখন হবে বা কার সাথে হবে।

দ্রুত বিয়ে হওয়ার দোয়া

বিয়ে একটা পবিত্র সম্পর্ক। বিয়ের মাধ্যমে আমাদের জীবনের অর্ধেক দিন পূর্ণ হয়। এর জন্য প্রয়োজন দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল। বিয়ের জন্য মহান আল্লাহ তা'আলা আগে থেকে জোড়া মিলিয়ে রেখেছেন। মহান আল্লাহতালা জানেন আপনি কাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করবেন এজন্য তিনি আগে থেকে জোড়া লিখে রেখেছেন শুধুমাত্র সিদ্ধান্ত আমাদের হাতে রেখেছেন। আপনি বিয়ের জন্য কেমন ছেলে বা মেয়ে খুঁজবেন সেটা শুধু মাত্র আপনার একান্ত সিদ্ধান্ত।

শরিয়ত-অনুযায়ী-দ্রুত-বিয়ে-হওয়ার-দোয়া

আপনি বিয়ে করবেন বিয়ে করার ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রী বাছাই করার জন্য দ্বীনদারিতা এবং চরিত্রকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন। বিয়ের পর স্বামী বাই স্ত্রীর চরিত্রে যদি সমস্যা থাকে বা চরিত্র খারাপ হয় তাহলে চেহারা বা ধন-সম্পদ সবই নষ্ট হয়ে যাবে সমাজে অনেক ছেলে মেয়ে আছে যাদের বিয়ে হচ্ছে না তারা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আর এর ফল ভুগতে হয় অভিভাবক কে। এজন্যই যত দ্রুত সম্ভব বিয়ে শাদী করে জীবনকে পবিত্র করা উচিত। তবে এর জন্য আপনাকে দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল চালিয়ে যেতে হবে।

আরও পড়ুন: কোন বয়সে বিয়ে হবে? জীবনসঙ্গী কেমন হবে?

ইয়াসিন পাঠ করতে হবে।সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে মনের বাসনা পূরণের জন্য এক পরিচিত আমল সকলের ফজর নামাজের পর (সুরা ইয়াসিন)পুরাটা পাঠ করবেন। নিচের দোয়াটা প্রতি নামাজের পর নিয়মিত পাঠ করলে ভালো ফলাফল যে পাওয়া যেতে পারেঃ( রাব্বানা হাবলা না, মিন-আজ ওয়াজিনা ওয়া- জুরি আতিনা, কুররাতা আইয়ুন, ওয়া জালনা লিল মুত্তাকীনা ইমামা)।

অর্থঃ হে আমার রব আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী সন্তান দান করুন যারা আমাদেরকে চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদের মুত্তাকিদের নেতা বানিয়ে দিন। 

হযরত মুসা আলাই সালাম যখন খুব যে একাকীত্ব অনুভব করতেন তখন তিনি এই আয়াতে সবচেয়ে বেশি বেশি তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল করবেন। এটি সুরা কাসাসের ২৪ নম্বর আয়াত। এছাড়াও দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য আপনি প্রতিদিন সূরা দোহা ১১বার করে পড়তে পারেন। এছাড়া সূরা ইয়াসিন ও আল্লাহর ৯৯ নাম ও খুবই কার্যকরী একটা আমল।এই আমলটি আপনি করতে পারেন ফলে আল্লাহ সহায় হলে খুব দ্রুত আপনার বিয়ে হবে।

৪০ দিনের মধ্যেই বিয়ে হওয়ার আমল 

ইসলামে বিয়ে সুন্নত। বিয়ে আমাদের জীবনে পূর্ণতা আনে। যা আমাদের আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সহায়ক। অনেকেই আছেন যারা আল্লাহর রহমত ও সাহায্য কামনা করে থাকেন দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য। ৪০ দিনের মধ্যেই বিয়ে হবে এরকম কোন নির্দিষ্ট কোন আমল বা বিধি-বিধান ইসলামের সরাসরি নির্ধারিত নেই। তবে কিছু দোয়া আছে, ইবাদত আছে এবং আমল রয়েছে যেগুলো পরিপূর্ণভাবে পালন করলে আল্লাহর কাছে দ্রুত সাহায্য আশা করা যায় বিয়ের জন্য। যেমনঃ 

  • ইস্তেগফার পাঠ করাঃ ইস্তেগফার পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহতালা নৈকট্য লাভ করা যায়। এটি আমাদেরকে গুনাহ থেকে মুক্তি দেয় এবং জীবনের সব ধরনের সমস্যার সমাধানের সহায়তা করে।
  •  সুরা ইয়াসিন এবং সুরা রহমান তেলাওয়াত করাঃ সুরা ইয়াসিন এবং সূরা রহমান অত্যন্ত বরকতময় সূরা। সুরা ইয়াসিন এবং সূরা রহমান যদি নিয়মিত তেলাওয়াত করা যায় তাহলে জীবনের সকল সমস্যার সমাধান হয় এবং প্রয়োজনের পূরণের পথ খুলে যাই। 
  • তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করাঃ তাহাজ্জত নামাজ আল্লাহর নৈকট অর্জনের এক বিশেষ একটা মাধ্যম। গভীর রাতে যখন তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা হয় তখন আল্লাহতালা কি নামাজ খুব দ্রুত কবুল করে থাকে।তাহাজ্জুদ নামাজ আল্লাহর কাছে অত্যন্ত পছন্দের সাথে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করি ও আল্লাহর কাছে অতি প্রিয় বান্দা। কারন আল্লাহ তায়ালা গভীর রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারীর খুব কাছাকাছি থাকে। তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করি যদি আল্লাহর কাছে কোন কিছু চেয়ে থাকে আল্লাহ তার বান্দার সকল মনের আশা পূরণ করে থাকে।

৭দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল

জন্ম,মৃত্যু,বিয়ে সবই মহান আল্লাহতালার হাতে। মহান আল্লাহ তা'আলা যখন চাইবে তার তখন বিয়ে হবে। বাংলায় একটি প্রবাদ বাক্য আছে, "বিয়ের ফুল ফুটলে বিয়ে হবে"। অনেক ছেলে-মেয়ে আছে জানেন তাই বিয়ের বয়স হওয়ার সাথে সাথে খুব দ্রুত বিয়ে হয়ে যায় আবার অনেক জন আছেন যাদের বিয়ের বয়স হয়েছে এমনকি বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে তবুও তাদের বিয়ে হয় না। তাদের জন্য রয়েছে ৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল। এই আমলটি করলে আল্লাহ তা'আলা নিশ্চয়ই সাত দিনের মধ্যে দ্রুত বিয়ের কোন না কোন ব্যবস্থা করে দিবেন।

আরো পড়ুন:কার সাথে বিয়ে হবে? বিয়ে হওয়ার লক্ষণ

বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করা। যে ব্যক্তি সব সময় তার জবানে ইস্তেগফার জারি রাখে মহান আল্লাহ তাআলা তাদের কখনো ফেরত দেন না।

আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ

আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা  হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম অতুবু ইলাইহি

সূরা আদ দোহা এবং সূরা কাসাসের ২৪ নাম্বার আয়াত পাঠ করাঃ যদি কোন ছেলে বা মেয়ে সূরা কাসাসের ২৪ নম্বর আয়াতটি ১০০ বার করে তাহলে মহান আল্লাহতালা খুব দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবেন। আয়াতটি হলঃ

উচ্চারণঃ ফাসাক্কা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইল্লাজজিল্লি ফাকাল্লা রাব্বি ইন্নি লিমা আংজালতা ইলায়্যা মিন খায়রিং ফাক্কির।

হযরত মুসা (আঃ) যখন একাকি অনুভব করতেন তখন এই দুয়াটি বেশি বেশি পাঠ করতেন। 

আর যদি মেয়েরা সূরা দুহা নিয়মিত ১১ বার পাঠ করেন সালে মহান আল্লাহতালা তাকে উত্তম পাত্র ব্যবস্থা করে দিবেন।

সুরা ইয়াসিন পাঠ করাঃ মেয়েদের বিয়ের প্রস্তাব আসে কিন্তু বিয়ে হয় না তাদের জন্য সুরা ইয়াসিন পাঠ করা অত্যন্ত কার্যকারী একটা আমল। সুরা ইয়াসিনে মুবিন আছে সাতটি। রোজ সকালে যখন সূর্য পূর্ব  আকাশের দিকে লাল হয়ে উঠবে তখন পশ্চিম দিক মুখ করে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করতে হবে। আর মুবিন"শব্দ তেলাওয়াত যখন করা হবে তখন শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে সূর্যের দিকে ইশারা করতে হবে।

সুরা তাওবার১২৯ নং আয়াত পাঠ করাঃযাদের বিয়ে হয় না তারা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর সূরা তাওবার ১২৯ নাম্বার আরেকটি পাঠ করতে হবে। ১৯ বার বিসমিল্লাহ, ১১০০ বার সূরা তাওবার ১২৯ নং আয়াত, ১০০ বার দরুদ শরীফ এবং শেষে১৯ বার বিসমিল্লাহ পাঠ করবে। আয়াতটি হলঃ

উচ্চারণঃ ফাইং তাওয়াল্লাউ ফাকুল হাসবি আল্লাহু লা ইলাহা আলাইহি তাওয়াক্কালতু হুয়া হুয়া রাব্বুল য়া আরসিল আজীম।

সূরা মোজাম্মেল পাঠ করাঃ যদি কোন ছেলে বা মেয়ের বিয়ের বয়স হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে না হয় বের প্রস্তাব না আসে তাহলে সেই ছেলে বা মেয়ে বাবা অথবা মা শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে এবং ২১ বার সূরা মোজামিল পাঠ করবে।

তাসবীহে ফাতেমি পাঠ করাঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর নিয়মিত তাসবীহে ফাতেমি পাঠ করা তাসবিহ ফাতেমি হল-

সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার পড়া

আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়া

আল্লাহু আকবার ৩৩/৩৪ বার পড়া

পাঠ করার আগে কুরআন শরীফ তেলাওয়াত এবং দুরুদ শরীফ তেলাওয়াত করে নেয়া উচিত।

সূরা মরিয়ম পাঠ করাঃ যদি কোন ছেলে বা মেয়ের বিয়ে না হয় তাহলে যে কোন রক্ত নামাজ আদায় করার পর সুরা মরিয়ম পাঠ করতে হবে এই আমলটি ছেলে বা মেয়ের বাবা-মাও আমল করতে পারেন যদি সহায় হন ইনশাল্লাহ খুব দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবেন মহান আল্লাহ তায়ালা।

৩ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল

যেসব ছেলে-মেয়েদের বিয়ের বয়স হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে হচ্ছে না কিন্তু তাদের যত ভাই-বোনদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আপনার বয়স বেড়ে যাচ্ছে বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে তবুও বিয়ে হচ্ছে না তাদের জন্য একটা পরীক্ষিত আমল রয়েছে। এই আমলটি করলে তিন দিনের মধ্যে আপনার বিয়ে হয়ে যেতে পারে। ফরজ নামাজের পর এই আমলটি করতে হবে ফজরের নামাজের পর ইব্রাহীম বা আপনি অনুযায়ী দুরুদ শরীফ জানেন সেই দুরুদ শরীফ তিনবার, সাতবার অথবা এগারো বার পাঠ করবেন। তারপর সুরা ইয়াসিন ৪১ বার পাঠ করবেন। 

৩-দিনের-মধ্যে-বিয়ে-হওয়ার-আমল

আপনি যদি সুরা ইয়াসিন ৪১ বার পাঠ করতে না পারেন তাহলে আপনি ৩ দিনে ভাগ করে এই আমলটি করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে ১৫ বার, দ্বিতীয় দিন ১৫ বার এবং তৃতীয় দিনে ১১ বার সুরা ইয়াসিন পাঠ করতে হবে এবং সূরা ইয়াসিন পাঠ করার পূর্বে অবশ্যই দুরুদ শরীফ তেলাওয়াত করতে হবে। এই আমল গুলো আপনি করতে থাকেন ইনশাল্লাহ আল্লাহ আপনাকে দ্রুত বিয়ে হওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন। বিয়ে হওয়ার ক্ষেত্রে তো আসলে আমাদের নিজস্ব কোন হাত থাকে না একমাত্র মহান আল্লাহ তাআলা ছাড়া এক্ষেত্রে কেউ কোন সাহায্য করতে পারবেনা। 

আরো পড়ুন:কার সাথে বিয়ে হবে সেটিও কি ভাগ্যে লেখা থাকে?

সর্বোপরি আমাদেরকে ধৈর্য রাখতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের যেকোন পরিস্থিতিতে ধৈর্য রাখতে বলেছেন। আমরা অনেকেই বিয়ের বয়স হয়ে যাওয়ার পর বিয়ে হচ্ছে না আপনার থেকে ছোট তাদের আগে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে এটা নিয়ে আমরা অনেক সময় মানসিকভাবে হতাশ হয়ে যায় কারণ বিয়ে আমাদের সামাজিক জীবনের অধ্যায়।

বিয়ে না হলে মানুষ নানা ধরনের কটু কথা শোনায় কিন্তু আমাদের আমাদের আমাদের সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রাখতে হবে যে আল্লাহতালা যেদিন আমাদের সহায় হবেন সেদিন আমাদের বিয়ে হবে। এজন্য আল্লাহর কাছে নামাজ যে দোয়া করতে হবে, ভুল ত্রুটি যেন মাফ চাইতে হবে এবং এবং বিয়ে হওয়ার জন্য যে আমলগুলো আছে সেগুলো করতে হবে।

ছেলেদের দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল

নির্দিষ্ট বয়স হয়ে যাওয়ার পর যখন ছেলেমেয়েদের বিয়ে না হয় তখন সমাজের দৃষ্টিতে অনেকে সেটাকে খারাপ নজরে দেখে। অনেক সময় অনেক আজেবাজে কথা বলে মানসিকভাবে আঘাত করা হয় এটা আসলে উচিত নয়। কারণ বিয়ে কবে হবে,কার সাথে হবে বা কখন হবে সেটা আমরা সাধারণ মানুষের পক্ষে বলা সম্ভব না।আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তাআলা একমাত্র আমাদের ভাগ্য নির্ধারণকারী। তিনি যেদিন লিখেছেন তকদিরে সেই দিন আমার বিয়ে হবে বা আপনার বিয়ে হবে। 

ছেলে বা মেয়ের জন্য আলাদা কোন আমল নেই উভয়ই বিয়ের দ্রুত হওয়ার জন্য একই আমল করতে পারেন। ছেলে অথবা মেয়ে দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য ৩দিন,৭দিন অথবা ৪০ দিন এর মধ্য থেকে যে কোন একটি আমল করতে পারেন। উপরে এই আমলগুলো কিভাবে করতে হবে তা সুন্দরভাবে আলোচনা করা আছে। এই আমলগুলো আপনি করতে থাকেন এবং আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও ভরসা রাখেন। আর নিজে ধৈর্যশীল হন। ইনশাল্লাহ আল্লাহ আপনার সহায় হবে। আল্লাহ যদি চান খুব দ্রুত আপনার বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবে এবং আপনার জীবন একজন সঠিক মানুষ আসবে।

বিয়ে দেরিতে হওয়ার কারণ

বিয়ে আমাদের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে উপযুক্ত বয়স হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে হচ্ছে না। দেরি হওয়ার পিছনে অনেক ধরনের কারণ থাকতে পারে। পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনেক সময় দেখা যায়।যে পরিবারের কোনো কারণে মতের অমিল হলে বিয়ে ভেঙ্গে যায় বা পিছিয়ে যাই। আবার বিয়েতে যদি পাত্র অথবা পাত্রী রাজি না থাকে অথবা অন্য কোন পারিবারিক জটিলতা থাকে তখন বিয়ে দেরিতে হয়।

আমাদের সবার আর্থিক অবস্থা তো একই না। আমাদের সবার আর্থিক অবস্থা একই না। কারো আর্থিক অবস্থা সচ্ছল, কারো অসচ্ছল কেউবা মধ্যবিত্ত। আমাদের সমাজে অনেক পরিবার আছে বিয়ের উপযুক্ত ছেলে মেয়ে আছে কিন্তু পরিবারের আর্থিক সমস্যা। আর্থিক সমস্যার কারণে তারা বিয়ের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজের সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। আবার বিয়ের জন্য ছেলেকে যথেষ্ট উপযুক্ত হতে হয়। তার আয়ের উৎস ভালো থাকতে হয় বা ভালো চাকরি থাকতে হয়। ভালো চাকরি অথবা ভালো ব্যবসা না থাকার কারণে অনেক সময় বিয়ে করা কঠিন হয়ে পড়ে।

আরো পড়ুন:প্রেমের বিয়ে কি ভাগ্যের লিখন?

বিয়ের জন্য আমরা কতটা আগ্রহী? আমার বিয়ে কবে হবে, কখন হবে, কার সাথে হবে এগুলো নিয়ে আমাদের মনে হাজার প্রশ্ন তৈরি হয়। কিন্তু তারপরও পছন্দ মত ভাল পাত্র বা পাত্র না থাকার কারণে ও বিয়ের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ পিছিয়ে যাই অনেক সময় মনের মতো পাত্র পাত্রী খুঁজে পাওয়া যায় না। সবাই তো চাই যে তার জীবন সঙ্গিনী সুন্দর হোক ভালো হোক ভালো চরিত্রের অধিকারী হোক। কারণ যাকে নিয়ে সেই তার সারাটা জীবন কাটাবে যার মাধ্যমে তার অর্ধেক দিন পূর্ণ হবে সেই সঙ্গে নিকা অবশ্যই ভালো হতে হবে।

এছাড়া আরো অনেক কারণ থাকে যার কারণে আমাদের বিয়ে দেরিতে হয়। আমরা অনেকেই আছি যারা পড়াশোনা,ক্যারিয়ার এগুলো নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকি। পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকি যে একটা ভালো চাকরি হবে। এতে তার ক্যারিয়ার টা সুন্দর হবে এবং তার বাকি পথ চলাগুলো সুন্দর হবে। ক্যারিয়ারে অনেক এই ফোকাস দেন যেন সে তার জীবন সঙ্গিনীকে নিয়ে সুন্দর মত জীবন কাটাতে পারেন। এই জন্য আগে ক্যারিয়ার টাকে গুছিয়ে নেন।কারণ বিয়ের পর অনেক দায়িত্ব নিতে হয়। আগে থেকে যদি সবকিছু গোছানো থাকে তাহলে দেখা যায় সংসার জীবনে ঝামেলা কম হয়।

বাস্তব উদাহরণঃ অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় ভালো পাত্র অথবা পাত্রী আছে কিন্তু পারিবারিক ক্ষমতার কারণে বিয়ে ভেঙে যায়। অথবা পাত্র-পাত্রী ঠিক থাকলেও আর্থিক সমস্যা সংকটের জন্য বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়। আমাদেরকে সর্বপ্রথম এই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের প্রথমে বুঝতে হবে আমাদের সমস্যা কোথায়। এবং পরবর্তীতে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। আর একটা বিষয় ধৈর্যশীল হতে হবে এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে।

ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিয়ে

ইসলামে বিয়ের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। বিয়ে শুধুমাত্র একটি সামাজিক প্রথা নয় বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কোরআন এবং হাদিসে দ্রুত বিয়ে করার কথা বলা হয়েছে। ইসলামে বিয়েকে অর্ধেক দিন বলা হয়েছে।বিয়ে ছাড়া দিন পরিপূর্ণ হয় না। বিয়ে করলে মানুষের চরিত্র সুন্দর থাকে এবং আল্লাহতালা সকল গুনাহ,খারাপ কাজ,অপকর্ম থেকে হেফাজত করে। চোখের গুনাহ থেকে হেফাজত রাখে। কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন," তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী পুরুষদের বিবাহ দাও।"(সূরা আন নূর, ২৪ঃ ৩২)।

হাদিসে আরও বলা আছে যে যখন তোমাদের কাছে কেউ বিয়ের প্রস্তাব দেয় তার যদি দ্বীন চরিত্র তোমার পছন্দ হয় তাহলে তার সাথে বিয়ে দিয়ে দিও। ইসলামের দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলা কতিপায় কিছু আমল করতে বলেছেন যেমনঃ সুরা ইয়াসিন বেশি বেশি পাঠ করা। সুরা ইয়াসিন বেশি বেশি পূরণ করেন।বেশি বেশি তাওবা ইস্তেগফার করা।বেশি বেশি তাওবা ইস্তেগফার করলে আল্লাহ তা'আলা খুশি হন,আল্লাহতালা আমাদের ভুল ত্রুটিগুলো মাফ করে দেন এবং আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়।

আল্লাহর কাছে সব সময় দোয়া করতে হবে,নিজের ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।বিয়ে হচ্ছে না এজন্য হতাশ হওয়া যাবেনা।আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে এবং তার কাছে সঠিক জীবনসঙ্গী হিসেবে একজন দ্বীনদার এবং ভালো চরিত্রবান সঙ্গিনী চাইতে হবে। কারণ সঙ্গিনী যদি দ্বীনদার না হয় খারাপ চরিত্রের অধিকারী হয় তাহলে সংসার জীবন কখনোই সুখের হবে না এজন্য সবসময় আমাদেরকে আল্লাহর কাছে এগুলো চেয়ে দোয়া করতে হবে। আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার কোন ইচ্ছা অপূর্ণ রাখেনা। আল্লাহ তাআলা অবশ্যই সাহায্য করবে সঠিক জীবনসঙ্গিনী দিয়ে জীবনটাকে সুন্দর করে দিবে

বিয়ের জন্য মানসিক প্রস্তুতি

বিয়ে নিয়ে আমরা যতটা আগ্রহী আবার আমাদের অনেকের মনে ভয়ভীতি কাজ করে।কারণ অন্য একটা মানুষের সারা জীবনের দায়িত্ব নেয়া এটা এতটা সহজ নয়।তাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হয়।বিয়ে শুধু দুটি মানুষের মধ্যে মিলন নয় নতুন একটা জীবনের শুরু হয়। তাই বিয়ের জন্য আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। দুশ্চিন্তা না করে সব সময় মহান আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা রাখতে হবে কারণ তিনি সবকিছুর মালিক।বিশ্বাস করতে হবে যে তিনি যা ভেবে রেখেছেন অবশ্যই সেটাই আমাদের সাথে হবে আর অবশ্যই ভালো কিছুই হবে।

সব সময় মনে ভালো কিছু চিন্তা করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া সম্ভব নয়। কোন কিছু যদি ভালো হয় সেটাও আল্লাহর ইচ্ছায় আবার কোন কিছু যদি খারাপ হয় সেক্ষেত্রে আল্লাহর উপর ভরসা থাকতে হবে এবং ধৈর্যশীল হতে হবে। কারো বিয়ে হয়ে যাচ্ছে দেখে আপনি হতাশ হবেন না অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্য দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবে এক্ষেত্রে আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে তাড়াহুড়ো না করে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা রাখতে হবে। যেদিন আল্লাহ আপনার ভাগ্যে বিয়ে লিখে রেখেছেন সেই দিনই আপনার বিয়ে হবে।

নিজেকে বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন নতুন জীবনের জন্য নিজেকে সুন্দর মত প্রস্তুত করবেন যেন বিবাহ পরবর্তী জীবনের সকল দায়িত্ব পালন করতে পারেন। কারণ একটা মানুষের ভালো থাকা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার উপর। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন এবং আল্লাহর কাছে অনেক অনেক দোয়া করবেন।

যেন আল্লাহ তায়ালা আপনাকে একজন উত্তম, সুন্দর এবং নেক চরিত্রের অধিকারী জীবনসঙ্গিনী দান করেন।মানসিকভাবে সবসময় নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হয় কারণ বিবাহ পরবর্তী জীবনে অনেক কঠিন সমস্যার মোকাবেলা করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে নিজের মনকে সবসময় শক্ত রাখতে হবে শান্ত রাখতে হবে। যেন যেকোনো সমস্যা খুব সুন্দর ভাবে সমাধান করতে পারে।

বিয়ে দ্রুত হওয়ার বাস্তব কিছু উপায়

বিয়ে দ্রুত হওয়ার জন্য আমলের পাশাপাশি কিছু বাস্তব উপায় অবলম্বন করলে দ্রুত বিয়ে হওয়া সম্ভব। বাস্তব কিছু উপায় যেমনঃ বায়োডাটা তৈরি করে। একটি সুন্দর আকর্ষণীয় বায়োডাটা তৈরি করুন বায়োডাটাতে আপনার সম্পর্কে সবগুলো তথ্য সুন্দর হবে লিখুন। বায়োডাটাতে আপনার নাম, বয়স, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পেশা উল্লেখ করতে হবে। বায়োডাটাতে আপনি আপনার পরিবারের সদস্য সম্পর্কে লিখবেন। আপনার পছন্দ-অপছন্দ এবং আগ্রহের বিষয়গুলো লিখবেন।

আপনার সুন্দর একটা ছবি দিবেন। আপনার বায়োডাটা টিকে সুন্দর করে সাজান যাতে দেখতে আকর্ষণীয় লাগে। বায়োডাটা তৈরি করার পর এটি বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করুন। যেমনঃ অনলাইন ম্যারেড সাইট, ঘটকের কাছে বা বন্ধুদের কাছে। অনেক সময় ঘটকের মাধ্যমে বিয়ে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার সম্পূর্ণ তথ্য গুলো ঘটকে দিবেন। এতে আপনার মানানসই অথবা পাত্রী খুঁজে দিতে তার সুবিধা হবে। আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেক পরিচিত আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবদের থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে।

এক্ষেত্রে আপনি আপনার পরিচিত আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে পারেন বিয়ের বিষয় নিয়ে তাদের সাথে কথাবার্তা বলতে পারেন। এমনকি আপনি আপনার বন্ধুদের সাথেও বিয়ের বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন। তাদের কাছে যদি কোন ভালো পাত্রী থাকে তাহলে তারা আপনাকে সাহায্য করতে পারবে।এক্ষেত্রে আপনাকে সামাজিকতা বজায় রাখতে হবে আপনার পরিচয় বাড়বে এবং বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা ও বাড়বে।

বিয়ে হওয়ার লক্ষণ

বিয়ে হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন লক্ষণ নেই। কখন কার বিয়ে হবে সেটা একমাত্র মহান রাব্বুল আলামিন ভালো জানেন। তবে আপনার পরিবারের মানুষজন যদি আপনাকে নিয়ে সবসময় আলোচনা করেন, বাড়িতে ঘটক ডাকে এবং তার সামনে আপনার বিয়ে নিয়ে আলোচনা করে বা পরিবার থেকে যদি কারো সাথে দেখা করতে বলে তাহলে আপনি আন্দাজ করতে পারবেন যে আপনার বিয়ে হতে চলেছে বা হতে পারে। হবেই এটা নিশ্চিত নয় কারণ কখন কার বিয়ে হবে সেটা শুধুমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালা জানেন।


তবে দোয়া আমল করার মাধ্যমে আপনার দ্রুত বিয়ে হতে পারে। এজন্য সব সময় আপনাকে আল্লাহর কাছে অন্তর থেকে দোয়া করতে হবে, তবে ইস্তেগফার পাঠ করতে, হবে যেন আল্লাহতালা আমাদের ভুল ত্রুটি গুলো মাফ করে দেয় এবং আমাদের জীবনে একজন উত্তম,চরিত্রবান জীবনসঙ্গী দান করেন।  আমাদেরকে সব সময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে এবং ধৈর্যশীল হতে হবে। কারণ বিয়ে কবে হবে সেটা মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের তকদিরে লিখে রেখেছেন। এটা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয় কবে আমাদের বিয়ে হবে।

ইসলামের ছেলে ও মেয়ের বিয়ের বয়স

কুরআনুল কারীমে মহান আল্লাহ তায়ালা বিয়ের জন্য কোন বয়স নির্ধারণ করে দেয়নি। বিয়ে একটি সামাজিক বিধান এটি আমাদের পালন করতে হবে। সৃষ্টি শুরু থেকেই এ বিধান পালন হয়। বিয়ে হচ্ছে নারী পুরুষের মধ্যকার একটা হালাল বন্ধন, সামাজিক বন্ধন। বিয়ে করার মাধ্যমে নারী-পুরুষ একটা বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা ইসলামের কাছে, সমাজের কাছে একটা বন্ধনের পরিচয় পাই। প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের বিয়ে করা উচিত।

তবে বিয়ে করার জন্য একজন নারী বা পুরুষ উভয়কেই শারীরিক এবং মানসিকভাবে পরিপক্ক হতে হবে, তাদের ইচ্ছা কে সমর্থন করতে হবে। পাত্র-পাত্রী একে অপরের ওপর সন্তুষ্টি রাখতে হবে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-হে যুবসমাজ! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে তাদের বিবাহ করা কর্তব্য। কেননা বিয়ে করার মাধ্যমে চোখে দৃষ্টি হেফাজত থাকে,শারীরিক চাহিদা হেফাজত থাকে।

এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি সামর্থ্যবান হলে মানে বিয়ের জন্য উপযুক্ত হলে অবশ্যই বিয়ে করতে হবে। একজন পুরুষ সাবালক হলেই সামর্থ্যবান হওয়ার কথা এজন্য তাকে চেষ্টা করতে হবে দ্রুত বিয়ে করার।বিয়ে করা আমাদের নবীর সুন্নত। বিয়ের মাধ্যমে চরিত্রের ঠিক থাকে অসংখ্য ফেতনা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। এমনকি জীবনের উন্নত শুরু হয় বিয়ের মাধ্যমে। কারণ আল্লাহ তাআলা আপনাকে আরেকজনের রিজিক নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে দেন। 

তকদির অনুযায়ী বিয়ে

আমাদের সব সময় তকদিরের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। কারণ আল্লাহ তাআলা আমাদের তকদিরে যা লিখে রেখেছেন সেটাই আমাদের বাস্তব জীবনে প্রতিফলিত হবে। মহান আল্লাহতায়ালা পৃথিবী সৃষ্টির প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে সবার তকদীর লিখে রেখেছেন। কার ভাগ্যে কি আছে কিভাবে আসবে কার কিভাবে বিয়ে হবে কার কখন মৃত্যু হবে সব কিছু শুধুমাত্র মহান আল্লাহতালা জানেন তিনি আমাদের তকদিরে সব লিখে রেখেছেন।এই তকদির আবার লেখা হয় যখন সন্তান মায়ের গর্ভে চার মাস দশ দিন।

তখন তার সেই ৫০ হাজার বছর পূর্বে তকদির আবার লেখা হয়। তবে দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহতালা অনেক কিছু পরিবর্তন করেন। এজন্য সবসময় আমাদের আল্লাহতালার কাছে দোয়া করতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে আমার তাকদীরে আল্লাহতালা যা লিখে রেখেছেন সেটাই আসবে আর সেটাকেই মেনে নিতে হবে। এজন্য বিয়ে না হলে হতাশাগ্রস্ত হওয়া যাবে না ধৈর্যশীল থাকতে হবে যে তকদিরে যেদিন আছে সেদিন বিয়ে হবে।

শেষ কথাঃ আমার বিয়ে কবে হবে 

আমার বিয়ে কবে হবে এটা কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কারণ জন্ম,মৃত্যু,বিয়ে সব কিছুর মালিক হচ্ছে আমাদের সৃষ্টিকর্তা। আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না কার ভাগ্যে কি আছে,কার কখন বিয়ে হবে,কার সাথে বিয়ে হবে,কখন বিয়ে হবে। এজন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে, দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য আমলগুলো করতে হবে। আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই সাহায্য করবে।

আজকের এই আর্টিকেল আমার কবে বিয়ে হবে এটা নিয়ে উপরে অনেক কিছু আলোচনা করেছি।দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য আমলগুলো করতে পারেন আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সাহায্য করবে এবং দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবে। আজকের এ আর্টিকেলটি যদি আপনার পছন্দ হয় এবং আরো যদি আর্টিকেল করতে চান অবশ্যই আমার ওয়েবসাইট আর্টিকেল সুত্রার সাথে যুক্ত থাকুন আর অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আর্টিকেলটি আপনার কেমন লাগলো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর্টিকেল সুত্রার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url